ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের দিকে আসছে করোনাভাইরাসের চলমান চতুর্থ ঢেউ। অবশ্য মঙ্গলবার আশা দেখালেও বুধবার এসে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে, কিছুটা বেড়েছে শনাক্তের হারও।
গত কয়েকদিনে শনাক্তের হারে ওঠানামা থাকলেও বোঝা যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণের দিকে আসছে ভাইরাসটির সংক্রমণ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। শনাক্তের হার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ হাজার ১৬২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৬২৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ২৯১ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৩ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ২৮০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাদের সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে তিনজন ঢাকার, একজন করে গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৩৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ২১১ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়েতে শুরু করে সংক্রমণ।