একদিনে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন চার জন। তবে শনিবার শনাক্তের হার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও রোববার তা লাফিয়ে কমেছে। এদিন শনাক্তের হার কমে হয়েছে ৭ দশমিক শূন্য চার শতাংশ।
শনিবারের সঙ্গে তুলনা করলে শনাক্তের হার কমেছে ৩ দশমিক শূন্য ৬ ভাগ। শনিবার শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। যা শুক্রবার ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। তবে এ নিয়ে টানা ৩৬ দিন শনাক্তের হার ৫-এর ওপর রয়ে গেল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রোববার দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ হাজার ১০৫টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৪৩০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১৪১ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ১ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ২৬৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের তিন জন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের তিন জন সরকারি হাসপাতালে ও অপরজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন নরসিংদী, শরীয়তপুর, শেরপুর ও রংপুরের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৭০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৩ জন।২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।