দেশে হাসপাতাল অনেক, তবে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানের ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার বেলা ২টার দিকে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নদের বেসিক সার্জিক্যাল স্কিল প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান প্রয়োজন। সেটার ওপর নজর দিয়ে আজকের এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ধরনের প্রশিক্ষণ সর্বক্ষেত্রে আশা করি।
‘দেশে অনেক হাসপাতাল। বর্তমানে ৩৮টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। আমাদের ওষুধপত্রের অভাব নেই। এক শ পারসেন্ট বিশ্বমানের ওষুধ দেশে তৈরি হয় এবং রপ্তানি হচ্ছে। অভাব শুধু প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানের।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাসপাতালে মনিটরিংয়ের অভাব আছে। মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে হাসপাতাল চিকিৎসার মান, যন্ত্রপাতি ও পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে। সে জন্য আমরা চারটি মনিটরিং কমিটি করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিনে বিশ্বে আমাদের নাম হয়েছে, এটা ধরে রাখতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষকে দিয়েছি। বুস্টার ডোজ আমরা তেমন দিতে পারিনি। তিন কোটি লোক বুস্টার ডোজ পেয়েছে। বুস্টার ডোজের জন্য স্টক বা দোকান খুলে বসে আছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় লোকজন নিতে আসে না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে নতুন করে ৪০০ টনের দুটি তরল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে একটি মানিকগঞ্জে, আরেকটি উত্তরাঞ্চলে স্থাপন হবে। এগুলো স্থাপন হলে ভবিষ্যতে আমাদের অক্সিজিনের অভাব হবে না।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মুগদা হাসপাতালের পরিচালক এ বি এম জামাল, কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খাঁন, সিভিল সার্জন মোয়াজ্জম আলী খাঁন চৌধুরী ও পৌর মেয়র মো. রমজান আলী।