একদিনে করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন দুই জন। মৃত্যুর সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনি শনাক্তও কমেছে। টানা দুদিন পর বুধবার শনাক্তের হার লাফিয়ে বাড়তে দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার অবশ্য স্বস্তি মিলেছে। যা অব্যাহত আছে শুক্রবারেও। এদিন শনাক্তের হার কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
বৃহস্পতিবারের সঙ্গে তুলনা করলে শনাক্তের হার কমেছে ১ দশমিক ৪৫ ভাগ। বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। তার আগের দিন বুধবার এ হার ছিল ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। তবে এ নিয়ে টানা ৩৪ দিন শনাক্তের হার ৫-এর ওপর রয়ে গেল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭ হাজার ৪১৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৬২০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১৮২ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৮৯৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ২৫৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দুই জনই পুরুষ। তাদের একজন সরকারি হাসপাতালে ও অপরজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন বরিশালের ও অপরজন সিলেটের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৬৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৫৯ জন।২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।