করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তও।
শনিবার বিকেলে গত ২৪ ঘণ্টার এ হিসাব দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৩৫১টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ।
আগের দিন দুজন মৃত্যুর তথ্য এসেছিল। আর ৯ হাজার ১০০টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১ হাজার ৫১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এদিন। শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এ নিয়ে টানা ২৫ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৫৭৬ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৩১ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ২১২ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৯ জনের চারজন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। তাদের সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মৃতদের মধ্যে চারজন ঢাকার। আর একজন করে আছে ফরিদপুর, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লার বাসিন্দা।গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৪২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১৫ হাজার ৮৬০ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।