দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে শনিবার করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৬৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৮১৪ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ৯৩৯ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রোববার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। শনিবার এই হার ছিল ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এ নিয়ে টানা ২৩ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৫৭৫ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ৮৫৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ২০০ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দুইজনই পুরুষ। তাদের একজন সরকারি হাসপাতালে ও অন্যজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মৃতদের মধ্যে একজন ঢাকার ও একজন ময়মনসিংহের বাসিন্দা।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর। গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।