বিশ্বে বছরে প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের একটি বড় অংশই মারা যান কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে। তবে একটু সচেতন হলেই ‘কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন’ (সিপিআর)-এর মাধ্যমে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার সিপিআর প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়ে এমন তথ্য জানান হেলো-আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী।
হেলো-আইপিডিআই ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা অনুষদ যৌথভাবে এই কর্মশালা আয়োজন করে।
অনুষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা অনুষদের অধ্যাপক ড. সালমা চৌধুরী, হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু রেজা মো. কাইউম খান এবং হেলো-আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারি জেনারেল হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মহসীন আহমদ।
আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর অন্যতম উপায় হলো সিপিআর। কোনো ধরনের ডাক্তারি বিদ্যা ছাড়াই যে কোনো মানুষের পক্ষে সিপিআর পদ্ধতি শেখা সম্ভব। জনসাধারণের মাঝে সিপিআর-এর সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই হেলো-আইপিডিআই এমন উদ্যোগ নিয়েছে।’
হেলো-আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. মহসীন আহমেদ ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে বলেন, ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচানোর পেছনে সিপিআর-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।’
উন্নত বিশ্বে এর গুরুত্ব সঠিকভাবে উপলব্ধ হয়েছে। অন্যদিকে আমাদের দেশে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর সম্পর্কে জনসাধারণের ধারণা না থাকায় এ ধরনের উদ্যোগ দেখা যায় না। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে হেলো-আইপিডিআই ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে।
‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে জীবন বাঁচায় সিপিআর, ঘরে ঘরে হোক এর ট্রেনিং সেন্টার- এই অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের আজকের এই কর্মশালার আয়োজন।’
কর্মশালায় আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আসিফ জামান তুষার, ডা. মাহবুবা আক্তার চৌধুরী ও ডা. শিবলী শাহেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে হাতে-কলমে সিপিআর প্রশিক্ষণ দেন।