বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার ঊর্ধ্বগতিতে সরকারি চাকুরেদের মাস্ক পরার নির্দেশ

  •    
  • ২১ জুন, ২০২২ ১৯:৪৫

করোনা ক্রমেই নিম্নমুখী হওয়ার পর সাধারণের মধ্যে এই ভাইরাসসংক্রান্ত যেসব সাবধানতার পরামর্শ দেয়া হয়, সেগুলো পালনে অনীহা দেখা দেয়। মানুষের মুখ থেকে অনেকটাই উধাও হয়ে যায় মাস্ক। তবে গত ছয় দিন ধরে শনাক্তের হার পরীক্ষার বিপরীতে ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ায় করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

করোনার প্রাদুর্ভাব ক্রমেই বেড়ে চলছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ১১ শতাংশ। টানা ছয় দিন তা ৫ শতাংশের বেশি পাওয়া গেছে। এ কারণে করোনার চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় টানা ১৪ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধরা হবে।

করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এসেছে গত ১০ মার্চ। এরপর শনাক্তের হার আরও কমতে কমতে একপর্যায়ে তা পরীক্ষার বিপরীতে এক শতাংশের নিচে নেমে যায়।

করোনা ক্রমেই নিম্নমুখী হওয়ার পর সাধারণের মধ্যে এই ভাইরাসসংক্রান্ত যেসব সাবধানতার পরামর্শ দেয়া হয়, সেগুলো পালনে অনীহা দেখা দেয়। মানুষের মুখ থেকে অনেকটাই উধাও হয়ে যায় মাস্ক।

মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সব অনুবিভাগ প্রধান এবং অধীন দপ্তর বা সংস্থার প্রধানদেরকে তার আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনের করোনায় আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। একপর্যায়ে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে তার সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও আসে।

তিন সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা সংক্রমণ আবারও বৃদ্ধির দিকে। মঙ্গলবার শনাক্তের হার পাওয়া গেছে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ।

তবে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখনও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। গত দুই দিনে দেশে একজন করে মানুষের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে টানা ২০ দিন মৃত্যুহীন সময় গেছে।

এ বিভাগের আরো খবর