স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ দাবি করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
লিখিত জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ খাতে দুর্নীতি দূর করতে গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন নির্দেশনার আলোকে শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম নেয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
জাতীয় সংসদে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগের আলোকে দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করা হচ্ছে এবং তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলাসহ শৃঙ্খলামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তিনি জানান, কোভিড-১৯-এর বিভিন্ন কার্যক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কার্যক্রম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করে এবং এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য খাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত তদন্ত শেষ করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থগিতসহ ব্যক্তির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
শাসক দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শফিউল ইসলামের আরেক প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এখনো দেশ থেকে কোভিড-১৯ পুরোপুরি চলে যায়নি বলে মন্তব্য করেন।
বলেন, ‘এরই মধ্যে ধাপে ধাপে বিশ্বে মাঙ্কি পক্সের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১৩ মে থেকে শুরু হয়ে ইতোমধ্যেই ৫১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সর্বমোট এক হাজার ৬৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশে এই ভাইরাস পাওয়া যায়নি। কিন্তু ঝুঁকি পর্যালোচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর জন্য মাঝারি ধরনের ঝুঁকির কথা জানিয়েছে।’
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রায় সব প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা (টেস্ট) করার সুযোগ রয়েছে। শুধু অল্প কিছু টেস্ট অন্য জায়গায় করার প্রয়োজন থাকতে পারে। তবে কোনো চিকিৎসক যদি প্রয়োজনে/অপ্রয়োজনে রোগীদের চিকিৎসা সেবাসংক্রান্ত টেস্ট নিয়ে কমিশন বাণিজ্যে যুক্ত আছে বলে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তদন্তসাপেক্ষে সে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।