বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শনাক্তের হার ছাড়াল ১০ শতাংশ

  •    
  • ২০ জুন, ২০২২ ১৮:২৪

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, টানা পাঁচ দিন রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৭৩ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা প্রায় চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আক্রান্তদের মধ্যে ৭৯৮ জনই ঢাকা জেলার ।

ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা, মিলছে আক্রান্তদের মৃত্যুর সংবাদ। এ অবস্থায় দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের শঙ্কা তীব্র হচ্ছে। সোমবার শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ১০ শতাংশ।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ২০ দিন মৃত্যুশূন্য থাকার পর এ সংবাদ দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মারা যাওয়া ব্যক্তি ঢাকার বাসিন্দা। তার বয়স ৬০ বছরের বেশি। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত এক দিনে পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এই হার ছিল ১২ দশমিক ২ শতাংশ। তখন করোনার তৃতীয় ঢেউ চলমান ছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, টানা পাঁচ দিন পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৭৩ জনের, যা প্রায় চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন ৮৯৭ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এ নিয়ে দেশে এক দিন ছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ টানা ২০ দিন নতুন রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বাড়ল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার জানা যায়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ২৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮৭৩টি নতুন রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢাকা জেলার ৭৯৮ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৮৯৯ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ২০০ জনে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী করোনার কোনো ঢেউ চলার সময় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ যদি ৫ শতাংশের নিচে থাকে, তাহলে সেই ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরা যাবে। বিপরীত দিক দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকার অবস্থায় পর দুই সপ্তাহ শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি হলে করোনার পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধরা হবে।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনের করোনায় আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। একপর্যায়ে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর দেশে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আসে করোনার আরেক ধরন ওমিক্রন। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও আসে। গত ১১ মার্চ তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য বিভাগ।

করোনা সতর্কতা না মানাসহ বিভিন্ন কারণে সংক্রমণ বাড়তির দিকে বলে কয়েক দিন ধরেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চতুর্থ ঢেউয়ের শঙ্কা নিয়ে আলোচনার মাঝেই সোমবার শনাক্ত ১০ শতাংশ ছাড়াল।

এ বিভাগের আরো খবর