বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে সব প্রস্তুতি নেয়া আছে বলে আশ্বস্ত করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সচিবালয়ে রোববার ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত কার্যক্রমের পর্যালোচনা এবং ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে তৃতীয় আন্তমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিষয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়। এবারও সেটি করা হয়েছে। আমাদের সব প্রস্তুতি উভয় মেয়র নিয়ে রেখেছেন। যেসব কীটনাশক, ওষুধ, যন্ত্রপাতি দরকার তা তাদের কাছে মজুত আছে।
‘ডেঙ্গু শুধু বাংলাদেশে না, গতবার ডেঙ্গু নিয়ে আমরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলাম। আমিও অসন্তুষ্ট ছিলাম। কিন্তু ভিয়েতনামে দেখি ২ লাখ লোক আক্রান্ত হয়, মালেয়েশিয়ায় ৭৫ হাজার এবং সিঙ্গাপুরে ৩৮ হাজার আক্রান্ত হয়েছিল।’
বিশ্বের ডেঙ্গু পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে ১১ হাজার ৬৭৪ জন, মালয়েশিয়ায় ১৩ হাজার ৬৫১ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২২ হাজার ৩৩১ জন, থাইল্যান্ডে আছে ১ হাজার ৫৮৪ জন, ফিলিপাইনে ৩৬ হাজার ৯৩৮ জন, ভারতে ৮ হাজার ২৭৮ জন ও বাংলাদেশে ৭৩০ জন আক্রান্ত হন।
‘ডেঙ্গুতে বাংলাদেশে এ বছর এখনও কেউ মারা যাননি। থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে কোনো মৃত্যু নেই। তবে ডেঙ্গুতে ভারতে একজন, ফিলিপাইনে ৩১ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২২৯ জন, মালয়েশিয়ায় ৭ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। এসব দেশ থেকে আমরা ভালো আছি।’
তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে ৫৫ লাখ মানুষ, মালয়েশিয়ায় আমাদের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ, থাইল্যান্ডে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ। ফিলিপাইনেও আমাদের চেয়ে জনসংখ্যা কম, তবে ভারতে জনসংখ্যা বেশি। সার্বিকভাবে আমার মনে হয় না আমরা অসন্তোষজনক কোনো পরিস্থিতিতে আছি।
‘আমরা কিন্তু প্রস্তুত আছি। মানুষকে সচেতন করতে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে।’