দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গত এক দিনে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এই হার ১১৬ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২০০টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৫৭ জনের শনাক্ত হয়েছে করোনা। গত ৯৬ দিনে এটিই সবচেয়ে বেশি। এর আগে গত ৮ মার্চ এর চেয়ে বেশি শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন ৪৪৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে টানা ১৬ দিন নতুন রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বাড়ল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। এতে করে মোট করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ১৩১ জনে রয়ে গেল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন শনাক্ত হওয়া ৩৫৭ জনের মধ্যে ৩২৮ জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে চট্টগ্রামে ১৬ জন, কক্সাবাজারে ৭ জন, নারায়ণগঞ্জে ও বরিশালে ২ জন করে এবং গাজীপুর ও চাঁদপুরে একজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৬১৮ জন। প্রতি ১০০ জন শনাক্তের বিপরীতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনের করোনায় আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। একপর্যায়ে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে তার সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও আসে।