করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধকরণে পুনরায় পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পরামর্শক কমিটির ৫৭তম সভায় এই সুপারিশ করা হয়। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে পুনরায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জনসমাগম বর্জন করা প্রয়োজন। ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানগুলোতে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দরকার।
সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়- যাদের জ্বর ও সর্দি-কাশি হচ্ছে তারাও অনেকে কোভিড টেস্ট করাচ্ছেন না। ফলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। এ জন্য যাদের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে এবং যারা কেভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে আসছেন তাদেরও টেস্ট করানোর জন্য অনুরোধ করতে হবে।
বিমান, স্থল ও নৌবন্দরগুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ, টিকা সনদ আবশ্যক করতে হবে। সন্দেহজনকদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে। সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্তদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ যারা এখনও নিতে পারেননি তাদের এটা নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করতে হবে। ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে NITAG-এর পরামর্শ অনুসরণ করা দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চতুর্থ ডোজ অনুমোদন করলে তা বিবেচনা করতে হবে। কোভিড-১৯-এর ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করার জন্য সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা দরকার। ভ্যাকসিন-পরবর্তী প্রতিরোধ ক্ষমতা কতদিন বজায় থাকছে, যে সম্পর্কেও গবেষণা করা প্রয়োজন।
কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ শয্যা, আইসিইউর ব্যবস্থা ও জনবল বর্ধিত হারে যথাযথভাবে প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন।