তিন মাসের বেশি সময় ধরে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকার পর ধীরে ধীরে বাড়ছে শনাক্ত। ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৯৮৬টি নমুনা পরীক্ষায় ২৩২ জনের শনাক্ত হয়েছে করোনা; গত ৯০ দিনে এটিই সবচেয়ে বেশি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময়ের মধ্যে কিছুটা বেড়েছে শনাক্তের হার। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় সর্বশেষ শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গতকাল এই হার ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন শনাক্ত হওয়া ২৩২ জনের মধ্যে ২১৬ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৫০৪ জন। প্রতি ১০০ জন শনাক্তের বিপরীতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। এরপর গত সাড়ে তিন মাসের মধ্যে এর চেয়ে বেশি শনাক্তের সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১৩১ জনের। তিন ধাপে করোনা সংক্রমণের প্রথম পর্যায়েই মৃত্যু বেশি ছিল। সে সময় সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থাপনাও ছিল দুর্বল।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনের করোনায় আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। একপর্যায়ে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে তার সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও আসে।