গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ২২৫টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৬২ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনা রোগী শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এই হার গত সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি এর চেয়ে বেশি শনাক্তের হারের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। এতে করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ১৩১ জনে রয়ে গেল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হওয়া ১৬২ জনের মধ্যে ১৪৯ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে চট্টগ্রামে চার জন; নারায়ণগঞ্জে দুই জন; গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, বান্দরবান, কুমিল্লা, বগুড়া ও বরিশালে এক জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৪১৬ জন। প্রতি ১০০ জন শনাক্তের বিপরীতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।