বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাস্থ্য গবেষণায় অবদান: ১০ নারী বিজ্ঞানীকে অনুদান

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২২ ১৭:২৫

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বদাই গবেষণার বিষয়ে তাগিদ দেন। তিনি চিকিৎসা গবেষণাকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। আজ গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ১০ নারী বিজ্ঞানীকে সম্মানিত করা হলো। এটি প্রমাণ করে, নারীর ক্ষমতায়নে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি।’

স্বাস্থ্য খাতে গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ৩৫ লাখ টাকা করে অনুদান পেয়েছেন ১০ নারী বিজ্ঞানী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ১০ নারী বিজ্ঞানীর হাতে সনদ ও অনুদানের চেক তুলে দিয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন আইসিডিডিআর’বির ও বাকিরা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

এই অনুদানের জন্য ৫০০ জন গবেষককে নির্বাচিত করা হয়। পরে তাদের মধ্যে এই ১০ জনকে অনুদান দেয় অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি)-এ মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে স্বাস্থ্য গবেষণা অনুদান ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বদাই গবেষণার বিষয়ে তাগিদ দেন। তিনি চিকিৎসা গবেষণাকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। আজ গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ১০ নারী বিজ্ঞানীকে সম্মানিত করা হলো। এটি প্রমাণ করে, নারীর ক্ষমতায়নে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি।

‘চিকিৎসা খাতে মোট শিক্ষার্থীর ৭৫ ভাগই নারী। আমরা চাই তারা আরও এগিয়ে যাক। সকল ক্ষেত্রে তারা পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুক।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো আপগ্রেড হচ্ছে। তাই আমাদেরও নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে গবেষণা আমাদের আপডেট রাখতে পারে। যেমন, দেশে এক সময় সংক্রামক রোগের ব্যাপক বিস্তৃতি ছিল।

‘ডায়রিয়া, কলেরায় গ্রামের পর গ্রাম খালি হয়ে যেত। কিন্তু এখন নিয়ন্ত্রণে আমরা বহুলাংশেই সফল। আইসিডিডিআর’বি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আইসিডিডিআর’বির গবেষণা আমাদের এসব রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে সহায়তা করেছে।’

সম্প্রতি ডায়রিয়ার ব্যাপক সংক্রমণ দেখা দিলে আইসিডিডিআর’বি তা মোকাবিলায় অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। করোনা মোকাবিলাতেও আইসিডিডিআর’বির ভূমিকা রয়েছে বলে জানান জাহিদ মালেক।

সরকারের স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশে মাত্র পাঁচটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ছিল। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। বর্তমানে পাঁচটি শুধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ই রয়েছে। যাদের কাজ চলমান আছে। আমাদের কোনো ইনস্টিটিউট ছিল না, এখন প্রত্যেকটি রোগের জন্য আলাদা আলাদা বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট রয়েছে।

‘করোনার শুরুতে আমরা কী করব জানতাম না। আমাদের আইইডিসিআর ছাড়া কোনো ল্যাব ছিল না। আমরা তখন সেটার দ্রুত ব্যবস্থা করেছি। অক্সিজেন ঘাটতি দূর করতে আমরা প্রতিটি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছি। আলাদা হাসপাতাল তৈরি করেছি।’

করোনা আবার বাড়ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

আইসিডিডিআর’বির পরিচালক (মাতৃত্ব ও শিশু) ডা. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদেরী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

এ বিভাগের আরো খবর