বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা বাড়ছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সতর্কতা

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২২ ১৪:৩৬

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড কিছুটা বেড়েছে। সতর্ক হতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব ভুলে গেলে হবে না। রোগী বাড়ছে।’

দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা আরও বাড়ছে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সচিবালয়ে বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টালে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ায় অটোমেশনবিষয়ক সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড কিছুটা বেড়েছে। সতর্ক হতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব ভুলে গেলে হবে না। রোগী বাড়ছে।’

রোববার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ৮৭৯টি ল্যাবরেটরিতে ৫ হাজার ২৮০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় নতুন করে ১০৯ জন রোগী শনাক্ত হন। এদের মধ্যে ১০১ জনই ঢাকা জেলার।

দেশে রোববার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১০৯ জন, যা গত ৮১ দিনের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২৩ মার্চ ১৩৪ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এরপর এক দিনে এত রোগী শনাক্তের সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ৮৭৯টি ল্যাবরেটরিতে ৫ হাজার ২৮০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় নতুন করে ১০৯ জন রোগী শনাক্ত হন। এদের মধ্যে ১০১ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে টানা ১০ দিন নতুন রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বাড়ল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে ভাইরাসটিতে মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৩১ জন রয়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৯১ জন করোনা রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ২৬৬ জন সেরে উঠলেন।

গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২.০৬ শতাংশ। আগের দিন এই হার ১.১৪ শতাংশ ছিল। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩.৭৮ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১.৪৯ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। একপর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩.৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।

গত ১১ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া চান তিনি। আইনমন্ত্রীর করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি শনিবার নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।

এ বিভাগের আরো খবর