দেশে গত একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১০৯ জন। যা গত ৮১ দিনের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২৩ মার্চ ১৩৪ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এরপর একদিনে এতো রোগী শনাক্তের সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৮৭৯টি ল্যাবরেটরিতে ৫ হাজার ২৮০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় নতুন করে ১০৯ জন রোগী শনাক্ত হন। এদের মধ্যে ১০১ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে টানা ১০ দিন নতুন রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বাড়ল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে ভাইরাসটিতে মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৩১ জন রয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৯১ জন করোনা রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ২৬৬ জন সেরে উঠলেন।
গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ। আগের দিন এই হার ১.১৪ শতাংশ ছিল। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এক পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।