চুয়াডাঙ্গা সদরে পক্সের উপসর্গ থাকায় হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা সেই বৃদ্ধার গায়ের ফোস্কাগুলো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলে জানিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। সেগুলো মাঙ্কিপক্স কিংবা অন্য কোনো পক্স নয় বলে জানিয়েছেন বোর্ডের চিকিৎসকরা।
মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওই বৃদ্ধাকে শুক্রবার সদর হাসপাতালে এনে আইসোলেশনে রাখা হয়। তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ৩ সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়।
আবুল হোসেন বলেন, ‘আজ ওই বৃদ্ধার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহের পর এটি মাঙ্কিপক্স বা কোনো পক্সই নয় বলে নিশ্চিত হয়েছি। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তার শরীরে ফোস্কা হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরি সুস্থ হয়ে যাবেন তিনি।’
তবে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত রোগীকে হাসপাতালেই রাখা হবে বলে জানান তিনি।
বৃদ্ধার বাড়ি সদর উপজেলার ভান্ডারদহ গ্রামে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বৃহস্পতিবার তাকে পর্যবেক্ষণ করে বলেন, ‘হাতের তালু, আঙুল ও শরীরের বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফোসকা নিয়ে হাসপাতালে আসেন ওই বৃদ্ধা। তার জ্বর ও মাথাব্যথা ছিল। শরীর ব্যথা ও দুর্বলতার কথাও বলেন।
‘তার শরীরে মার্বেলের মতো পক্সের উপসর্গ থাকায় বিষয়টি সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে অবহিত করি। তাদের পরামর্শে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওই নারীকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।’
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আওলিয়ার রহমান শুক্রবার জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বৃদ্ধাকে ফের হাসপাতালে আনা হয়েছে।