দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। টানা ৮ দিন নুমনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৭৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৪ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। যা গত ১ এপ্রিলের পর সবচেয়ে বেশি। সেদিন দেশে ৮১ জনের দেহে করোনা শনাক্তের সংবাদ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ৬৪ জনের মধ্যে ৫৫ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। বাকি ৯ জন কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, রাজশাহীর বাসিন্দা।
বেশ কিছুদিন থেকেই শনাক্তের সংখ্যার সঙ্গে বেড়েছে শনাক্তের হারও। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ১ দশমিক ১৮ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে গত এক দিনে করোনা আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩১ জনেই রয়েছে। সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৯৩৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১৪৫ জন। এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৫ হাজার ৬৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।