চুয়াডাঙ্গা সদরে পক্সের উপসর্গ দেখা দেয়ায় এক বৃদ্ধাকে হোম আইসোলেশন থেকে হাসপাতালের আইসোলেশনে নিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কি না জানতে নমুনা নেয়া হবে শনিবার। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আওলিয়ার রহমান শুক্রবার বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই; ওই বৃদ্ধার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম।
জেলা সদর হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নারী চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে চিকিৎসকরা হোম আইসোলেশনে পাঠান।
বৃদ্ধার বাড়ি সদর উপজেলার ভান্ডারদহ গ্রামে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বৃহস্পতিবার তাকে পর্যবেক্ষণ করে বলেন, ‘হাতের তালু, আঙুল ও শরীরের বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফোসকা নিয়ে হাসপাতালে আসেন ওই বৃদ্ধা। তার জ্বর ও মাথাব্যথা ছিল। শরীর ব্যথা ও দুর্বলতার কথাও বলেন।
‘তার শরীরে মার্বেলের মতো পক্সের উপসর্গ থাকায় বিষয়টি সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে অবহিত করি। তাদের পরামর্শে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওই নারীকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।’
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আওলিয়ার শুক্রবার বলেন, ‘আজ সকালে আবারও ওই বৃদ্ধাকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তাকে আপাতত হাসপাতালের আইসোলেশনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। যেহেতু রোগটি আমরা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করতে পারিনি, তাই তাকে আলাদা রাখা হচ্ছে।
‘আমরা পর্যবেক্ষণের পর যদি উপসর্গ দেখে রোগ নির্ণয় করতে না পারি, তাহলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের ডাকা হবে। তারা ওই বৃদ্ধার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করবেন। তবে রোগ নির্ণয় না হওয়া পর্যন্ত এটিকে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ বলা যাবে না।’
সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হাসান বলেন, ‘ওই বৃদ্ধার শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। রোগ নির্ণয়ের আগে এটিকে মাঙ্কিপক্স বলে আতঙ্ক ছড়ানো যাবে না। আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এটা নিয়ে জেলাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করছি।’
তিনি বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ওই বৃদ্ধার শরীরে মাঙ্কিপক্স রোগের উপসর্গ আছে কি না তা এখনই বলা যাবে না। কারণ ওই বৃদ্ধা কখনও বিদেশ ভ্রমণ করেননি।’