বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

  •    
  • ৭ জুন, ২০২২ ২২:১০

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন। আর ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এক জন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকায় হঠাৎ করেই বাড়ছে ডেঙ্গু সংক্রমণ। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পূববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে মঙ্গলবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১২৬ জন ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরপর তিন মাসে সারাদেশে মাত্র ৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। তবে গত মাসে সারাদেশে ১৬৩ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। যেখানে এই মাসে এক সপ্তাহে ডেঙ্গু নিয়ে ১১১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪৬৩ জনে। এদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৮৮ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন। আর ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এক জন।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে চলতি বছর এখনও কোনো মৃত্যু সংবাদ আসেনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দায় নাগরিকদেরওডেঙ্গু রোগী সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে নাগরিকদেরও দায় আছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন আমরা মশা নিয়ে যে রেজাল্ট পাচ্ছি, তা এ মাসের শুরুর দিকের। হয়তো এখন একটু কমতে পারে, তবে ঘনত্ব প্রায় একই রকম থাকবে। রাজধানীর যে জায়গাগুলোতে এডিস মশার ঘনত্ব ২০-এর ওপরে সেই জায়গাগুলোতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।’

মশার ওষুধে কোনো ঘাটতি আছে কি না, জানতে চাইলে এই কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ‘এখানে সমস্যা ওষুধের না। কীটনাশকের খুব একটা ভূমিকা নেই। এখানে মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে। বাড়িতে সবাই যদি সচেতন হয় তাহলে এডিশ মশা অনেক কমে যেত।’

তিনি বলেন, ‘এডিস বাসাবাড়ি বা নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে জন্ম নেয়। মেঝেতে জমে থাকা পানিতে এটি বেশি পাওয়া যায়। সিটি করপোরেশনের যেমন এডিস মশা দমনের দায় আছে, তেমনই বাসাবাড়িতে যেন মশা না হয়, সেটির দায় নাগরিকদের নিতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর