দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ফের বাড়ছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হারও বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৭৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৪ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাতে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ১৪ শতাংশে। যা গত আড়াই মাসের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার সর্বোচ্চ।
গত ২৩ মার্চ এর থেকে বেশি শনাক্তের হার ছিল। সেদিন ১ দশমিক ২৬ শতাংশ রোগী শনাক্তের তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের চার জেলায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৪ জন। এর মধ্যে ৫১ জনই ঢাকা বিভাগের। এ ছাড়া কক্সবাজারে এক জন, দিনাজপুরে এক জন ও সিলেটে এক জন শনাক্ত হয়েছেন।
এই সময়ের মধ্যে কারও মৃত্যু সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে মৃত্যু না হওয়ায় মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ১৩১ জনে রয়ে গেছে। সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৪ জনে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪২৫ জন। এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৪ হাজার ৪৫৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে।ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।