মে মাসে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৮১৬ জন। এই সময়ের মধ্যে চার জনের মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৪ জন, এর মধ্যে ২৭ জনই ঢাকা বিভাগের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত এক দিনে নতুন করে মৃত্যু সংবাদ না দেয়ায় মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ১৩১ জনে রয়ে গেল। সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪১ জনে।
বুধবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫ হাজার ৩৮০টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের নতুন হার শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩.৮৩ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৫৭ জন। এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৩ হাজার ১১৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।