দেশে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪০জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৫জনই ঢাকা বিভাগের। এর বাইরে ময়মনসিংহ ও সিলেটে ২ জন করে এবং কক্সবাজারে একজন শনাক্ত হয়েছে।
তবে এই সময়কালে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর খবর নেই।
রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের এই হিসাব দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর জানায়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসাব মিলিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪৭ জন। নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর না থাকায় দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩০ জনেই রয়েছে।
রোববার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫ হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৪০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্ত হার দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর মোট শনাক্ত হার ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ২১৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ২ হাজার ৪২২ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার অমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত সময়ে।