ক্যানসারের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালগুলোতে মেডিক্যাল ফিজিসিস্ট বা চিকিৎসা পদার্থবিদদের কাজে লাগানো জরুরি বলে মনে করছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিএ)।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে চিকিৎসায় পদার্থবিদ্যার প্রয়োগ নিয়ে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বিএমপিএর আলোচকরা এ মত দেন।
বিএমপিএ ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ক্যানসার সারাতে মেডিক্যাল ফিজিক্সের সচেতনতা তৈরি’।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড ডসেমেট্রির পরিচালক অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চিকিৎসা পদার্থবিদদের কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে। পাশাপাশি সব হাসপাতালে যেসব আধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রপাতির ব্যবহার হচ্ছে, তার সঠিক ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের জন্য বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেয়া দরকার। এ বিষয়ে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন চেয়ারম্যান ড. মো. আজিজুল হক বলেন, রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে ক্যানসারের মানসম্পন্ন চিকিৎসা নিশ্চিত করতে গবেষণা বাড়াতে হবে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ক্যানসার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটালের (এনআইসিআরএইচ) পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসায় পদার্থবিদ্যার প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। এক্সটার্নাল-বিম রেডিওথেরাপি বা ব্র্যাকিথেরাপির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসা হয়। চিকিৎসা পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা বাড়ানো অপরিহার্য।
তিনি বলেন, রেডিয়েশন থেরাপি ক্যানসার চিকিত্সার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে রয়ে গেছে। ক্যানসার রোগীদের প্রায় ৫০ শতাংশ রেডিয়েশন থেরাপি নেন।
এনআইসিআরএইচের পরিচালক আরও বলেন, বাংলাদেশে যোগ্য চিকিৎসা পদার্থবিদের অভাবে রোগীরা রেডিয়েশন থেরাপির সর্বোত্তম সুবিধা পান না। চিকিৎসা পদার্থবিদ্যা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব থাকায় এ সমস্যাটি নজরে আসেনি।