যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার নিম্ন আয়ের ৪৫টি দেশে নতুন ওষুধ ও টিকা উৎপাদন খরচের মূল্যে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে।
বুধবার বিকেলে ফাইজারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফাইজারের ২৩টি পেটেন্ট করা ওষুধ ও টিকা রয়েছে। এগুলো সংক্রামক ও বিরল প্রদাহজনক রোগ এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের চিকিংসায় ব্যবহার হয়।
ফাইজার জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের টিকা এবং অ্যান্টি-ভাইরাল চিকিৎসা এ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই উদ্যোগে ১০০ কোটির বেশি মানুষ উপকৃত হবে।
ফাইজার বায়োফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেলা হাওয়াং বলেন, ‘নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে আমাদের কাছ থেকে ওষুধ ও করোনা প্রতিরোধী টিকা পেতে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়। এ জন্য আমরা প্রাথমিকভাবে পাঁচটি দেশকে বাছাই করেছি। এরপর একটি সমাধানে আসার পর অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও অনুরূপ উদ্যোগ নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি বিল গেটস বলেছেন, ‘আমি আশা করি ওষুধ প্রস্তুতকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও ফাইজারের নেয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করবে। আমরা ফাইজারের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আনন্দিত এবং আমরা এ ধরনের উদ্যোগ সম্পর্কে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প-সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে কথা বলছি।’
ওষুধ প্রস্তুতকারী অন্যান্য কোম্পানি যেমন ব্রিটিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রাজেনেকা, যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন জনসন অ্যান্ড জনসন করোনা মহামারি চলাকালে তাদের করোন প্রতিরোধী টিকা উৎপাদন খরচের মূল্যে বিক্রি করেছে। সে সময় করোনা টিকা বিক্রি থেকে অতিরিক্ত লাভ করা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে ফাইজার।