কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মা ও দুই ছেলের দেহে মাঙ্কিপক্সের মতো ক্ষত দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে আতঙ্কে আছে পরিবারটি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা বাড়িতে গিয়ে তাদের দেখেছেন। মাঙ্কিপক্স নয়, অন্য কোনো ধরণের চর্মরোগ হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে বলেছেন চিকিৎসকরা।
ওই নারী মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে জানান, তার বয়স ২৯। ৬-৭ মাস ধরে তার শরীরে গোল চাকার মতো ক্ষত দেখা দিয়েছে। সেটা দিন দিন বাড়ছে। তার ১২ ও ৫ বছরের দুই ছেলেরও এ ধরনের ক্ষত হয়েছে। বড় ছেলের মুখে ও পায়ে হয়েছিল, যা শুকিয়ে গেছে। আর ছোট ছেলের পায়ে হয়েছে, যার চিকিৎসা চলছে।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে ছেলেরটা ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু আমারটা ভালো হচ্ছে না। শুধু বাড়ছেই। এখন সারা শরীরে হয়ে গেছে। কালো কালো হয়ে গেছে। ডা. তুষার শিকদারকে দেখাচ্ছি। তিনি ঈদের পরে কিছু টেস্ট করে নিয়ে যেতে বলেছেন। এখনও করা হয়নি।’
ওই নারীর ধারণা একটি বিদেশি অন্তর্বাস ব্যবহারের কারণে এমন হয়েছে। তবে সেটি দেশ থেকেই কেনা ছিল।
তিনি বলেন, ‘বিদেশি ওই অন্তর্বাস দেশে থেকেই কেনা। ৬-৭ মাস আগের কথা। এটা পরার পরপরই সারা শরীর চুলকানো শুরু করে। এসিড মারলে যেমন হয় তেমন পুড়ে যাওয়ার মতো হয়। এরপর থেকে চুলকানি বাড়তেই থাকে। গোল গোল চাকা চাকা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে।’
জেলা সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মাঙ্কিপক্স সন্দেহে ওই বাড়িতে চিকিৎসক পাঠানো হয়েছিল। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে সেটি অন্য কোনো চর্মরোগ। ৬ মাস ধরে তারা ভুগছেন; মাঙ্কিপক্স হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তারপরও যাচাই করা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, ‘মনে হচ্ছে মাঙ্কিপক্স নয়। কোনো ধরনের চর্মরোগ হবে। তারপরও অধিকতর পরীক্ষার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে বলেছি।’