বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অ্যান্টিবায়োটিকের মোড়কে পরিবর্তন আসছে

  •    
  • ১৮ মে, ২০২২ ১৭:২৫

ডিজিডিএ’র সহকারী পরিচালক এসএম সাবরিনা ইয়াছমিন বলেন, ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই) ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানুয়ারিতে এক সভায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের লেভেলে লাল চিহ্ন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি অনুমোদন দেয়া হয়।’

দেশে ৬৭ শতাংশের বেশি ওষুধ বিক্রয় কেন্দ্রের (ফার্মেসি) বিক্রেতারা অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা রাখেন না। এমনকি তারা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চিনতেও পারেন না।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এমন বাস্তবতায় ওষুধ চিহ্নিতকরণ সহজ করতে অ্যান্টিবায়োটিকের মোড়ক (প্যাকেট) বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রাজধানীর এক হোটেলে বুধবার এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) সহকারী পরিচালক এসএম সাবরিনা ইয়াছমিন এসব কথা বলেন।

‘বাংলাদেশে চলমান অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্স (এএমআর) পরিস্থিতি ও এএমইউ ট্রেন্ডস’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি)।

সাবরিনা ইয়াছমিন বলেন, ‘বাংলাদেশে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে সেবনের প্রবণতা একটি বড় সমস্যা। সাধারণ মানুষ অসুস্থ হলেই ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে সেবন করেন। দেশের আটটি বিভাগের ৪২৭টি ফার্মেসিতে জরিপ চালিয়ে আমরা দেখেছি, ৬৭ দশমিক ৩ শতাংশ ফার্মেসি কর্মী অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না। তারা সহজে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চিনতেও পারেন না।’

ঔষধ প্রশাসনের এই সহকারী পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই) ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানুয়ারিতে এক সভায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের লেভেলে লাল চিহ্ন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি অনুমোদনও দেয়া হয়।’

‘মানুষ এবং পশু দুই ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মোড়কে এই চিহ্ন ব্যবহার করা হবে। ইতোমধ্যে অনেক কোম্পানি তাদের ওষুধের মোড়কে এই চিহ্ন ব্যবহার করছে।’

অনুষ্ঠানে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ (আইইডিসিআর) কয়েকটি সংস্থা বিভিন্ন গবেষণা তথ্য তুলে ধরে।

ডিজিডিএ মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির, রোগ নিয়ন্ত্রণ (সংক্রামক) শাখার পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর