বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক সপ্তাহে করোনা শনাক্ত বাড়ল ১৫৬%

  •    
  • ১৬ মে, ২০২২ ১৭:১১

৯ থেকে ১৫ মে এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯০৮টি। এ মধ্যে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২১৩ জন। এর আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৮৩। সেই হিসাবে গত এক সপ্তাহে রোগী শনাক্ত বেড়েছে ১৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

দুই মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর ফের ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সপ্তাহের ব্যবধানে শনাক্ত ১৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শনাক্ত ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ কমলেও গত এক সপ্তাহে তা বেড়েছে।

৯ থেকে ১৫ মে এক সপ্তাহে নুমনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯০৮টি। এ মধ্যে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২১৩ জন। এর আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৮৩। সেই হিসাবে গত এক সপ্তাহে রোগী শনাক্ত বেড়েছে ১৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

তবে চলতি মাসে করোনায় কারও মৃত্যুর সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে টানা ২৬ দিন মৃত্যুশূন্য দেশ। এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৭ জন। রোববার এই সংখ্যা ছিল ৩৩ জন। এর আগে সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল এক জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে এক দিনে কোনো মৃত্যু না থাকায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জনে রয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯। নতুন করে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৮ জন। চট্টগ্রামের দুই জন, সিলেটের চার জন; জামালপুর, কক্সবাজার ও দিনাজপুরের একজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ হাজার ৭৯০টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ।

সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২২০ জন। এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৯ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।

এ বিভাগের আরো খবর