পরিচর্যাহীন ছাদবাগান ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার মিলব্যারাক সংলগ্ন ধোলাইখাল পাম্প স্টেশন ও জলাধার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘গত বছর টানা চার মাস বৃষ্টি হয়েছে। এবারও তেমনটা হলে ডেঙ্গু নিধনে কাজ করাটা আমাদের জন্য দুরূহ হবে। কারণ আমাদের বাসাবাড়ি, স্থাপনা, বাড়ির আনাচে-কানাচে ও ছাদবাগানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। পরিচর্যাহীন ছাদবাগানে জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা জন্মে। পরিচর্যা না হওয়া ছাদবাগান ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করছে।’
ডিএসসিসি মেয়র এর আগে ওয়ারিতে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত এডিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ চিরুনি অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সে সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে আমাদের দুটি কাজ অগ্রাধিকার পায়। এর একটি হলো মশক নিধন ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ। উদ্দেশ্য, ঢাকাবাসী যেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয়। দ্বিতীয়ত, জলাবদ্ধতা নিরসন।
‘এই দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আমরা এবার কাজ শুরু করেছি। বর্ষা মৌসুমের আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রাক-মৌসুমের একটি জরিপ করেছে। সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিনটি ওয়ার্ডকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং চারটি ওয়ার্ডকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এই সাতটি ওয়ার্ড নিয়েই কাজ শুরু করেছি। উদ্দেশ্য, কোথাও যেন এডিসের লার্ভা জন্মাতে না পারে।’
আগামী আষাঢ় মাস থেকে মূল অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘ইতোমধ্যে সরকারের কাছে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি যাতে করে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারি।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।