করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত দুই মাস করোনা সংক্রমণ কমতে কমতে দশের ঘরে আসে। তবে ধীরে ধীরে ফের নতুন রোগী শনাক্ত বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৩ জন। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ২৬। সোমবার এই সংখ্যা ছিল ৩০।
করোনা শনাক্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে টানা ২১ দিন মৃত্যুশূন্য দেশ।
বুধবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল একজনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।
নতুন করে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৯ জন, খুলনায় চারজন, সিলেটে তিনজন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দুজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম, যশোর ও কুষ্টিয়ায় একজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে এক দিনে কোনো মৃত্যু না থাকায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জনে রয়ে গেছে। সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৮৮৮।
বুধবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ হাজার ১৮২টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের নতুন হার শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৪৯ জন। এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩১২ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত