করোনা মহামারিতে ভারতে ৪৭ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বৃহস্পতিবার এমন তথ্য জানানোর পর প্রবল আপত্তি তুলেছে দিল্লি।
করোনায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান নির্ণয়ে ডব্লিউএইচও যে গাণিতিক মডেল ব্যবহার করেছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, এই সমীক্ষায় ব্যবহৃত মডেলের বৈধতা এবং ডেটার পদ্ধতি সংগ্রহ সন্দেহজনক।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ডব্লিউএইচও বলেছে, গত দুই বছরে প্রায় দেড় কোটি মানুষ করোনাভাইরাস সংক্রমণে বা ভয়ার্ত হয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে মারা গেছে। এটা ৬০ লাখ সরকারি মৃত্যুর সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি। বেশিরভাগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায়।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে ৪৭ লাখ মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এটা সরকারি পরিসংখ্যানের ১০ গুণ এবং বিশ্বব্যাপী কোভিড মৃত্যুর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গাণিতিক মডেলের ওপর ভিত্তি করে অতিরিক্ত মৃত্যুর অনুমান প্রজেক্ট করার জন্য ডব্লিউএইচও দ্বারা গৃহীত পদ্ধতিতে ভারত ধারাবাহিকভাবে আপত্তি জানিয়ে আসছে।
‘এই মডেল অনুশীলনের প্রক্রিয়া, পদ্ধতি এবং ফলাফলের প্রতি ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও হু ভারতের উদ্বেগের পর্যাপ্ত সমাধান না করেই অতিরিক্ত মৃত্যুর অনুমান প্রকাশ করেছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ডব্লিউএইচও আজ পর্যন্ত ভারতের প্রশ্নগুলো সম্পর্কে তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ভারত ক্রমাগতভাবে ডব্লিউএইচওর স্বীকারোক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে যে, ১৭টি রাজ্যের তথ্য কিছু ওয়েবসাইট ও মিডিয়া রিপোর্ট থেকে পাওয়া। এটি পরিসংখ্যানগতভাবে অসঙ্গত এবং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রশ্নের সম্মুখীন।’