ঈদের ছুটিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ রয়েছে। এটি চালু হবে বৃহস্পতিবার। এ ছাড়া বাকি সব ওয়ার্ডের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
মঙ্গলবার হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, অন্য বিভাগে ডাক্তার ও নার্স সেবা দিচ্ছেন।
অর্থোপেডিক্সের ২০১ নম্বর ওয়ার্ডে অনেক সিট খালি পড়ে আছে। সেখানে রোগী ও তাদের স্বজনরা আছেন। মেডিসিন বিভাগও একেবারেই ফাঁকা।
তবে নিউরোলজির ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো সিট ফাঁকা নেই। ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১৯ বছর বয়সী আল-আমিন আম পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় সোমবার সকালে ভর্তি হন। মাথায় রক্ত জমাট হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আল-আমিনের ভাই রুহুল আমিন বলেন, ‘চিকিৎসক সিটিস্ক্যান দিয়েছেন। সিট না থাকায় আমাদের ফ্লোরে থাকতে দেয়া হয়েছে। দুপুরে ডাক্তার রাউন্ড দিয়ে গেছেন।’
নিউরোলজির ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো সিট ফাঁকা নেই। ছবি: নিউজবাংলা
ময়মনসিংহ থেকে মাথায় আঘাত পেয়ে সোমবার বিকেলে ঢাকা মেডিক্যালের ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে আসেন মুকুল মিয়া।
তার ভাই মো. দিদার বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যার দিকে পাওনা টাকা নিয়ে দুই গ্রুপের মারামারি লাগে। আমার ভাই মধ্যস্থ করতে গেলে তার মাথায় আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার আজকেও দেখেছেন।’
নিউরোলজি বিভাগের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা ব্রাদার সঞ্জয় সরকার বলেন, ‘দুই দিন ধরে আমাদের ওয়ার্ডে প্রচুর রোগী আসছে। অথচ তিন দিন আগে অর্ধেক রোগীও ছিল না। আমরা প্রত্যেকটা রোগীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’
জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালিটি আবাসিক সার্জন মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘এখানে অপারেশন থিয়েটারসহ সার্জারি, নিউরো, অর্থোপেডিক্সসহ সব ওয়ার্ডের কার্যক্রম অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক। গত রাত থেকে রোগীর চাপ ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনা, মারামারি- এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বেশি। আমাদের এখানে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দেয়া হয়। এখানের রোগীদের দুর্ভোগ হচ্ছে না। বিনা চিকিৎসায় কাউকে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে না।’