দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত নতুন রোগী, পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার, মৃত্যু-সবই কমেছে। ঢাকা বিভাগের বাইরে করোনা রোগী এখন নেই বললেই চলে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১০ জন। নতুন শনাক্তদের সবাই ঢাকা বিভাগের। এদের মধ্যে ঢাকা জেলার রয়েছেন নয়জন আর টাঙ্গাইলের একজন।
এর আগের দিন দেশে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছিলেন ২৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ছিলেন ২১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যুর তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে টানা ১২ দিন করোনা মৃত্যুহীন দিন পার করল দেশ।
এর আগে ২০ এপ্রিল এক জনের মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টার হিসাব দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭২৬।
নতুন করে এক দিনে কোনো মৃত্যু না থাকায় এ সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জনে রয়ে গেল।
সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ হাজার ৪৭৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে, গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩০৪ জন। এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৬ হাজার এক জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ।
২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। আর এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।