করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এপ্রিল মাসে মারা গেছেন পাঁচ জন। আর পুরো মাসে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১১৪ জন।
রোববার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ হিসাব দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যুর তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে এক দিনে কোনো মৃত্যু না থাকায় এ সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জনে রয়ে গেল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২৫ জন। এদের মধ্যে ২১ জনই ঢাকা বিভাগের। এ ছাড়া কক্সবাজারে শনাক্ত হয়েছেন দুই জন। সিলেট ও বগুড়া একজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭১৬।
রোববার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ হাজার ৬৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় ২৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে, গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৯৩ জন। এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ।
২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। আর এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।