দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩০ জন। নতুন শনাক্তের ২৫ জনই ঢাকা বিভাগের। এ ছাড়া মাগুরা ও চাঁদপুরে দুজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বাকি একজন কুষ্টিয়া জেলার।
এ সময়ের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জনই রয়েছে।
এ নিয়ে টানা ৯ দিন দেশে করোনায় মৃত্যু নেই। এর আগে ২০ এপ্রিল একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শুক্রবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টার এ হিসাব দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৬৭৪ জনে।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ হাজার ৭৫৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৩০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩২৬ জন। এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৫ হাজার ১৪৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। আর এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।