প্রতিবেশী দেশ ভারত, চীনসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ আসলেও বাংলাদেশে এই ঢেউ আসার আশঙ্কা খুবই কম বলে মূল্যায়ন করেছে রোগতত্ত্ব নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসি।
এই মূল্যায়নের পেছনে একটি যে কারণের কথা উঠে এসেছে, সেটি হলো, বাংলাদেশের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক ভালো।
বুধবার রাজধানীর গুলশান আমেরিকান সেন্টার বাংলাদেশের সঙ্গে পার্টনারশিপ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মূল্যায়নের কথা জানান ইউএস সিডিসি কান্ট্রি ডিরেক্টর সুসান নিলি।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত করোনার তিনটি ঢেউ মোকাবিলা করেছে। এর মধ্যে চলতি বছর আসা তৃতীয় ঢেউয়ে প্রাণহানি ও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক সবচেয়ে কম।
দেশ যখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরছে, তখন আবার চীন ও ভারতে করোনার কারণে নানা বিধিনিষেধের খবর আসছে। দুটি দেশেই এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেয়া হচ্ছে। দুটি দেশেই বাংলাদেশিদের ব্যাপক যোগাযোগ আছে।
যদিও দেশে এখন শনাক্তের সংখ্যা খুবই কম, তারপরেও চীন ও ভারতের পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশেও আবার করোনা ছড়ায় কি না, তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়।
তবে সিডিসির কর্মকর্তা দিচ্ছেন আশ্বাস। তিনি বলেন, ‘ভারত, চীন এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যে করোনার চতুর্থ ঢেউ দেখা দিলেও বাংলাদেশে আসার আশঙ্কা খুবই কম। যদিও আসে, তা হবে ছোট পরিসরে।’
বাংলাদেশিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক ভালো বলেও মূল্যায়ন করেন তিনি। বলেন, ‘এই কারণে বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে ভালো অবস্থা রয়েছে। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত, এ বিষয় যথাযথ জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।’
তার পরেও সতর্ক থাকার তাগিদ দিয়েছেন সিডিসি কর্মকর্তা। বলেন, ‘যেকোনো একজন করোনা আক্রান্ত রোগী ফের প্যানডামিক তৈরি করতে পারে। সুতরাং সতর্ক থাকতে হবে। প্যানডামিক সবার জন্যই শিক্ষা, আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না।
বাংলাদেশে করোনা টিকা ব্যবস্থাপনা ভালো ছিল বলেও মূল্যায়ন করেন সুসান নিলি। করোনা টিকার কার্যক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘টিকা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। দিনে দিনে করোনা টিকার কার্যক্ষমতা বাড়াতে গবেষণার প্রয়োজন হবে।’