শুধু করোনা প্রতিরোধী টিকা নয়, দেশে সব রোগের টিকা উৎপাদনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে দেশে টিকা উৎপাদনের কাজ চলমান রয়েছে। শুধু করোনা টিকা নয়। দেশে সব রোগ প্রতিরোধে টিকা উৎপাদনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
করোনা টিকা প্রতি বছর নিতে হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘করোনার টিকা প্রতি বছর নিতে হবে কি না তা নিশ্চিত না, তবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। টিকা উৎপাদনে কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’
ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ‘২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা খুবই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় হয়েছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট।
‘পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস এড়াতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি পরীক্ষা ব্যবস্থা ও পরীক্ষার মান আরও কিভাবে উন্নত করা যায়। যেভাবে সফলতার সঙ্গে এমবিবিএস পরীক্ষা নেয়া হয়েছে সেভাবে বিডিএস পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। করোনার মধ্যেও এসব পরীক্ষাগুলো নিয়ে এসেছি। কোনো সময় এই পরীক্ষা বন্ধ ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘সারা দেশের মোট ৬৫ হাজার ৯০৭ পরীক্ষার্থী ৫৪৫টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। প্রতি আসনের জন্য লড়ছেন ১২১ শিক্ষার্থী। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ১ হাজার ৪০৮ সিট রয়েছে। মোট ১ হাজার ৯৫০টি সিট রয়েছে ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের জন্য। এই পরীক্ষা ১২টি সেন্টার ও ২৬টি কেন্দ্র নেয়া হয়েছে। ঢাকার ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।’
ডায়ারিয়া প্রতিরোধে মে মাসে টিকা দেয়া হবে ঢাকার ৫টি স্থানে। কোন প্রক্রিয়া ও কত তারিখ থেকে এই টিকাদান শুরু হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ডায়রিয়ার প্রকোপ কমাতে টিকাদান কর্মসূটি হাতে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে। সাধারণত কলেরা বা ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি সেখানেই এটা দেয়া হবে। টিকাদান কর্মসূচির পরিধি বাড়ানো হবে।’
আমরা আহ্বান করবে এই টিকা যাতে মানুষ পায়। টিকা নিলে যে সফলতা আসে, তার সুফল করোনা টিকা নিয়ে প্রমাণ মিলেছে। গত এক মাস যাবত করোনায় মৃত্যু নেই। সংক্রমণ মাত্র ৩০শের ঘরে। যার ফলে আমরা স্বস্তিতে রয়েছি। অর্থনীতির অবস্থা অনেক ভালো।