করোনা মোকাবিলায় দেশে প্রায় ২০০ চিকিৎসক প্রাণ দিয়েছেন। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা রোগীদের সেবা অব্যাহত রেখেছেন। চিকিৎসক সমাজের এ ভূমিকায় গর্বিত শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
রাজধানীতে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অফ বাংলাদেশের (ওএসবি) ৪৮তম বার্ষিক সম্মেলন হয়।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মেডিক্যাল শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার বিকল্প নেই। এ জন্য বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাড়াতে হবে।’
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসকদের ভূমিকা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা হিসেবে রোগীদের জীবন বাঁচাতে লড়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ চিকিৎসক জীবন দিয়েছেন, তবুও পিছু হটেননি তারা। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। তাদের অবদানে আমরা গর্বিত।’
অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অফ বাংলাদেশের (ওএসবি) ৪৮তম বার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চে নেতৃবৃন্দ। ছবি: সংগৃহীত
সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানুষের অন্ধত্ব নিবারণ, প্রতিরোধ ও অন্ধত্ব দূরীকরণে ওএসবি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। চক্ষু চিকিৎসকদের জন্য প্রয়োজনীয় পদ তৈরি, চক্ষু বিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষার প্রসার, চোখের রোগ নিয়ে সচেতনতা তৈরি ও চিকিৎসাসেবা দিতে তারা কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।’
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএমএ এর মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, এশিয়া প্যাসেফিক একাডেমি অফ অফথালমোলজি এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. আভা হোসেন, ওএসবি এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কাদের সহ চিকিৎসক প্রতিনিধিরা।