বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাতৃদুগ্ধদান সহায়তায় শীর্ষে বাংলাদেশ, ভারত ৭৯

  •    
  • ২৪ আগস্ট, ২০২১ ১২:৫৫

বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ডা. এস কে রায় বলেন, ‘২০২০ সালের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ এই অগ্রগতি করেছে। যেখানে ১০টি সূচকের পাঁচটিতেই পুরো নম্বর পেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।’

শিশুদের মাতৃদুগ্ধদান সহায়তায় বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ১০০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এই মাইলফলক অর্জন করেছে। তালিকায় ভারতের অবস্থান ৭৯তম।

১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ মাতৃদুগ্ধদানে মায়েদের সহায়তায় বাংলাদেশের স্কোর ৯১ দশমিক ৫। এরপরই ৯০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে শ্রীলঙ্কা।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে নেপাল ৩৯ এবং মালদ্বীপ ১৯তম স্থানে রয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ড ইনিশিয়েটিভ (ডব্লিউবিটিআই) এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।

রিপোর্টে বাংলাদেশকে ‘গ্রিন ন্যাশন’ হিসেবে অভিহিত করে অভিনন্দন জানিয়েছে ডব্লিউবিটিআই।

মূলত ১০টি বিষয়কে সূচক হিসেবে ধরে ডব্লিউবিটিআই দেশগুলোকে গ্রিন, ইয়েলো ও রেড হিসেবে চিহ্নিত করে এই তালিকা করেছে।

সেখানে বাংলাদেশ ৯১ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে। ২০০৫ সাল থেকে শিশুদের মাতৃদুগ্ধদানের বিষয়টিতে জোর দেয়া শুরু হয়।

ডব্লিউবিটিআই-এর বৈশ্বিক সমন্বয়ক ড. অরুণ গুপ্ত বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করার যে অঙ্গীকার তা পূরণ করেছে।’

একটা নির্দিষ্ট মান বজায় রেখে নবজাতক ও শিশুদের মায়ের বুকের দুধ পান করানোর প্রোগ্রামটি বাংলাদেশে শুরু হয় ২০০৪ সাল থেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টির তত্ত্বাবধান করে থাকে।

ডব্লিউবিটিআই বলছে, বিশ্বে প্রতিদিন অপর্যাপ্ত মাতৃদুগ্ধের কারণে খরচ করতে হয় প্রায় ১০০ কোটি ডলার। এটি অর্থনৈতিক হিসাবে খুব বড় ব্যয়। সেই সঙ্গে এটি স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বাড়াচ্ছে।

অন্যদিকে মাতৃদুগ্ধ পানের ফলে বিশ্বে প্রতিবছর অন্তত ৭ লাখ জীবন রক্ষা পায়।

মাতৃদুগ্ধ পানের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। সেই সঙ্গে অসংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ করে মৃত্যুঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।

এই মাইলফলক অর্জন সম্ভব হয়েছে দেশে অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারীদের সুরক্ষার কারণে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশে মাতৃদুগ্ধদানে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে বলে ডব্লিউবিটিআই-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ডা. এস কে রায় বলেন, ‘২০২০ সালের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ এই অগ্রগতি করেছে। যেখানে ১০টি সূচকের পাঁচটিতেই পুরো নম্বর পেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।’

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার পরে শীর্ষ দশে অবস্থান করছে যথাক্রমে আফগানিস্তান, কিউবা, গাম্বিয়া, বলিভিয়া, তুরস্ক, এল সালভেদর, নাইজার, কেনিয়া ও কুয়েত।

এ বিভাগের আরো খবর