বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কঠোর বার্তা দিয়ে প্রাভাকে আবার চালুর অনুমতি

  •    
  • ২৩ আগস্ট, ২০২১ ২৩:১০

গত ২ আগস্ট বেশ কিছু অনিয়ম পাওয়ার কথা জানিয়ে প্রাভা হেলথের সব কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে তারা অনিয়মগুলো সংশোধন করেছে। তবে আবার অনিয়ম হলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

অনিয়মসমূহ সংশোধন করায় প্রাভা হেলথের সব কার্যক্রম চালুর সুযোগ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে আবার অনিয়ম পেলে লাইসেন্স বাতিল করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার কথাও জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার থেকে আগের নিয়মে সব কার্যক্রম পরিচালনা করবে জানানো হয়েছে প্রাভার পক্ষ থেকে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী সিলভানা কিউ সিনহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যেসব বিষয়ে সংশোধনের নির্দেশনা দিয়েছিল, সেগুলো সংশোধন করেছি।

‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আবার আমাদের প্রতিষ্ঠানটি ভিজিট করেছে। সবকিছু ঠিক থাকায় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আবার চালু করার জন্য একটি চিঠি দিয়েছে। আগামীকাল থেকেই আমাদের সব কার্যক্রম চালু হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের গ্রাহকদের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছি।’

অধিদপ্তরের চিঠিতেও বলা হয়েছে, কিছু অনিয়মের কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। পরে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এবং অনিয়মগুলো সংশোধনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং অনতিবিলম্বে পিসিআর রুমে একটি বায়োসেফটি কেবিনেট স্থাপন ও মাস্টারমিক্স রুম থেকে পিসিআর রুমে স্যাম্পল দেয়ার জন্য পাসবক্স স্থাপনের শর্তে প্রাভা হেলথের প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম আবার চালুর অনুমতি দেয়া হয়েছে।

আবার কোনো অনিয়মের প্রমাণ পেলে প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ফরিদ হোসেন মিঞার স্বাক্ষর রয়েছে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে সমস্ত কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়েছিল, সেই সমস্ত কারণগুলো তারা সংশোধন করেছে। কাল থেকে তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।’

গত ২ আগস্ট বেশ কিছু অনিয়মের পাওয়ার কথা জানিয়ে প্রাভা হেলথের সব কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অভিযোগ ছিল, করোনাভাইরাসের নমুনা কালেকশন বুথে পৃথক ডনিং এবং ডফিং রুম থাকার নিয়ম থাকলেও প্রাভা হেলথে একই কক্ষে দুটি কাজই চলছিল।

আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্টে বিএমডিসির নিবন্ধিত একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষর প্রয়োজন, কিন্তু প্রাভা হেলথের দেয়া কোনো প্রতিবেদনে তা ছিল না।

বিদেশগামী যাত্রীদের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারি নির্ধারিত ফি সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠাটি নিবন্ধন ফির নামে অতিরিক্ত ১৫০ টাকা আদায় করছিল।

প্রাভা হেলথ তাদের ওয়েবসাইটে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে তাদের ‘পার্টনার’ বলে দাবি করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়টির ব্যাখ্যা চাইলে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। বরং ওই শব্দটি পরিবর্তন করে ‘আওয়ার করপোরেট ক্লায়েন্টস’ জুড়ে দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর