বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ডেডিকেটেড ৬ হাসপাতাল

  •    
  • ২৩ আগস্ট, ২০২১ ১৭:১৫

হাসপাতালগুলো হলো সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল, আমিন বাজার ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, লালকুঠি হাসপাতাল মিরপুর ও কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যার বিশিষ্ট হাসপাতাল।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু জ্বর। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ডেঙ্গু রোগীদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিশ্চিতে ছয়টি হাসপাতাল নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

হাসপাতালগুলো হলো সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল, আমিন বাজার ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, লালকুঠি হাসপাতাল মিরপুর ও কামরাঙ্গীচর ৩১ শয্যার বিশিষ্ট হাসপাতাল।

যেসব এলাকায় এডিস মশা বেশি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রতি করা এক জরিপে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণের পাঁচটি করে ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ এডিস মশার ঘনত্ব পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ঢাকা উত্তরের ৫টি ওয়ার্ড হলো: মগবাজার (নিউ ইস্কাটনে মশার ঘনত্ব শতকরা ৫৬.৭ ভাগ), বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা (নিকুঞ্জে ৪৮.৪ ভাগ), কল্যাণপুর (দারুস সালামে ৪৬.৭ ভাগ), মিরপুর-১০ (কাজীপাড়ায় ৪৩.৩ ভাগ), মহাখালী ও নিকেতনে ৪০ ভাগ।

ঢাকা দক্ষিণের ৫টি ওয়ার্ড হলো: বাসাবো (গোড়ান ৭৩.৩ ভাগ), এলিফ্যান্ট রোড (সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকা ৬৬.৭ ভাগ), আর কে মিশন রোড (টিকাটুলীতে ৫০ ভাগ), বনশ্রীতে ৪০ ভাগ, মিন্টো রোডে (বেইলি রোডে ৪০ ভাগ) এডিস মশার ঘনত্ব পাওয়া গেছে।

২০১৯ সালে ডেঙ্গু রোগে ১৭৯ জনের মৃত্যু ও লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর গত বছর সতর্ক অবস্থানে ছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তারপরও ২০২০ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ১ হাজার ৪০৫ জন, যাদের মধ্যে ৬ জন মারা যায়। গত বছর সংক্রমণের মাত্রা কম থাকলেও এ বছর পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড মহামারির মধ্যে করোনা ও ডেঙ্গু নিয়ে যেসব রোগী হাসপাতালে আসছেন, তাদের অনেকেরই স্বাস্থ্য জটিলতা বেশি। আগামী দিনে এ ধরনের রোগী বাড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ডেঙ্গু নিধনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত মার্চ মাসে সিটি করপোরেশনগুলোতে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাতে মশার উৎপত্তিস্থলগুলো ধ্বংস করে দিতে বলা হয়েছিল। তবে তাতে কোনো কাজ হয়নি।

ডেঙ্গু যেন না হয় তার ব্যবস্থা নিতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গু হলে নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগ সেবা দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। তবে ডেঙ্গু যেন না হয়, সে জন্য সিটি করপোরেশনকে কাজ করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর