করোনা প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার প্রচলিত সময়সীমা থাকলেও তা ১৫ দিনে করা যায় কি না, সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশ দেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা যুক্ত ছিলেন সচিবালয় প্রান্ত থেকে।
বৈঠকে শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদেরকে এখন দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দ্বিতীয় ডোজের সময়টা একটু কমিয়ে দেয়া যায় কি না।’
এখন এক মাসের ব্যবধানে টিকা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এক মাসের পরিবর্তে আমরা ১৫ বা ২০ দিন করে দিতে পারি কি না, এ বিষয়টি দেখতে বলেছেন। যদি সম্ভব হয়, আমরা সেটা করব।’
পৃথিবীর কয়েকটি দেশে ১৫ দিনের ব্যবধানে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
বাস্তবায়ন নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা টেকনিক্যাল কমিটি ও ডব্লিউএইচও-এর সঙ্গে আলাপ করে সেই সিদ্ধান্তটা নেব; সেটাও টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে। টিকা না থাকলে তো ১৫ দিন করেও কোনো বেনিফিট নেই, লাভ হবে না।’
মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামও একই কথা জানান।
সচিব বলেন, ‘এটা তো টেকনিক্যাল বিষয়, আমি-আপনি জোর করে তো কিছু বলতে পারব না। তবে অনেক দেশে গ্যাপটা কমিয়ে নিয়ে আসছে। সে ক্ষেত্রে মানুষের সেইফটিটা একটা বিষয়। তাই টেকনিক্যাল সাইড দেখে যতদূর সম্ভব কম গ্যাপে সেকেন্ড ডোজ দেয়া যায় কি না।’