বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এসএমএস ছাড়াই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকা

  •    
  • ২৩ আগস্ট, ২০২১ ১৫:০৯

মিজানুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে যারা দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের দ্রুততম সময়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার জন্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসএমএস ছাড়া কেন্দ্রে যোগাযোগ করে টিকা নিতে পারবেন।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়া যাবে এসএমএস ছাড়া। এই টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর দীর্ঘদিন যারা অপেক্ষা করছেন, তাদের নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মিজানুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে যারা দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের দ্রুততম সময়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার জন্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসএমএস ছাড়া কেন্দ্রে যোগাযোগ করে টিকা নিতে পারবেন।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আজ একটি নির্দেশনা কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে আছেন, তারা নিকটবর্তী কেন্দ্রে যোগাযোগ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করুন।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সংকটের কারণে রোজার ঈদের পর থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম ডোজ নেয়ার পর অনিশ্চয়তায় পড়েন ১৪ লাখ মানুষ। এর মধ্যে আরও চার ধরনের টিকার চালান দেশে এসেছে।

তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জট খুলছিল না। অনেকের প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার পর পাঁচ থেকে ছয় মাস পার হয়ে গেছে। শেষে জাপান থেকে চার চালানে ২৪ লাখ টিকা দেশে আসছে। আর ৬ লাখ টিকা আসার কথা রয়েছে জাপান থেকে।

বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিচ্ছে জাপান।

এই টিকা প্রথম দফায় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কিনেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সরবরাহ সংকটে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায়নি।

জাপান থেকে আসা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়েই শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া। চুক্তি অনুযায়ী অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা দেশে আসার কথা থাকলেও মাত্র ৭০ লাখ ডোজ দিয়েই টিকা দেয়া বন্ধ করে দেয় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট।

এমনকি এ বছরের শেষে ছাড়া অন্য কোনো দেশকে তারা টিকা দিতে পারবে না বলেও জানিয়ে দেয়।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় ১৪ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়ে বিপাকে পড়ে সরকার। তাদের দ্বিতীয় ডোজ শেষ করতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেতে বিভিন্ন দেশকে চিঠি দেয়া হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গতকাল পর্যন্ত দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ১৬ হাজার ২২ ডোজ। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়াদের মধ্য পুরুষ ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯১ এবং নারী ৪১ লাখ ৫১ হাজার ১৩১ জন।

এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৯ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর