হৃদরোগের চিকিৎসায় সরকারি পর্যায়ে দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট। সারা দেশের রোগীরা এই হাসপাতালে সেবা নিতে আসেন। চিকিৎসার প্রয়োজনে অনেক রোগীকে ভাল্ব প্রতিস্থাপন কিংবা রিং বসাতে হয়।
আর্থিক সংকটের কারণে অনেক রোগী চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ পান না। এসব রোগীদের চিকিৎসায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে এককালীন ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া হৃদরোগ হাসপাতালে অনুদানের চেক হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করেন।
চেক গ্রহণ শেষে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নিউজবাংলাকে বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত অসহায় ও গরিব রোগীদের বিনা মূল্যে হার্টের ভাল্ব, রিং ও পেসমেকার কিনতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে এককালীন ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশের গরিব মানুষের জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী নিজে খোঁজ নিয়ে দেখেছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে সবচেয়ে বেশি গরিব রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। এমনকি বিনা মূল্যে সবচেয়ে কম খরচে রোগীরা চিকিৎসা সুবিধা পান। এমন অসহায় রোগীদের জন্য এই টাকা থেকে চিকিৎসা দেয়া হবে।
বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য ১৫০টি ভাল্ব, ১৫০ রিং ও ১০০ পেসমেকার কেনা হবে। এই অনুদান প্রথমবারের মতো জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
এগুলো বিতরণ কিভাবে হবে জানতে চাইলে ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের হাসপাতালে আগে থেকেই গরীব রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেয়া হয়।
যারা এই সেবার আওতায় আসবে তাদের অবশ্যই এলাকা থেকে চেয়ারম্যান বা স্থানীয় প্রতিনিধিদের থেকে একটি সনদ নিয়ে আসা লাগবে। স্থানীয় প্রতিনিধি লিখে দিবেন সে আসলেই গরিব এবং আর্থিক সংকটের কারণে চিকিৎসা নিতে পাচ্ছেন না। এছাড়া এবিষয়ে হাসপাতালে তিন সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। তার সবকিছু দেখে এই অনুদান থেকে বিনা মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিবেন।