বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪৮ দিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু, ৫৪ দিনে সবচেয়ে কম শনাক্ত

  •    
  • ২০ আগস্ট, ২০২১ ১৭:২১

২৪ ঘণ্টায় দেশের ৭২৪টি ল্যাবে করোনার ৩৮ হাজার ৮৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৭৭ জন, নারী ৬৮ জন। এর মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। বিশোর্ধ্ব ৫, ত্রিশোর্ধ্ব ৯, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৯ ও ষাটোর্ধ্ব ৫২, সত্তরোর্ধ্ব ২৮, অশীতিপর ১৭ জন রয়েছেন।

করোনাভাইরাসে গত ৪৮ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল গত ২৪ ঘণ্টায়। তবে এই সংখ্যাটিও বিশাল। প্রাণ হারিয়েছে মোট ১৪৫ জন। এ নিয়ে গত বছরের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ২৫ হাজার।

মৃতের এই সংখ্যাটি গত ৪৮ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে গত ৩ জুলাই ২৪ ঘণ্টায় ১৩৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে মোট ৫ হাজার ৯৯৩ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হারও কমে এসেছে। গত ২০ জুলাইয়ের পর এটাই সর্বনিম্ন শনাক্ত।

এই সংখ্যাটি গত ২৭ ‍জুনের পর থেকে সর্বনিম্ন। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ২৬৮ জনের মধ্যে ভাইরাসটির অস্তিত্ব শনাক্তের তথ্য জানানো হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ২০৩ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৩২ জনের।

২৪ ঘণ্টায় দেশের ৭২৪টি ল্যাবে করোনার ৩৮ হাজার ৮৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৭৭ জন, নারী ৬৮ জন। এর মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। বিশোর্ধ্ব ৫, ত্রিশোর্ধ্ব ৯, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৯ ও ষাটোর্ধ্ব ৫২, সত্তরোর্ধ্ব ২৮, অশীতিপর ১৭ জন রয়েছেন।

গত কয়েক সপ্তাহে শনাক্ত-মৃত্যু দুই-ই বাড়ছিল। ছবি: নিউজবাংলা

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জন। এ ছাড়া খুলনায় ১৫ জন, রাজশাহীতে ৫, বরিশালে ৪, সিলেটে ৭, রংপুরে ৭ ও ময়মনসিংহে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। উদ্বেগ থাকলেও প্রথম কয়েক মাসে ভাইরাসটি সেভাবে ছড়ায়নি। গত শীতে দ্বিতীয় ঢেউ আসার উদ্বেগ থাকলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু- দুটোই কমে আসে। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে যায়, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় মহামারি নয়, নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি।

তবে গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতে করোনার নতুন ধরনের কথা জানা যায়। সেই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের দ্রুত অসুস্থ করে দেয়, তাদের অক্সিজেন লাগে বেশি। ছড়ায়ও দ্রুত, তাই মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।

করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দফায় দফায় কঠোর বিধিনিষেধ, লকডাউন বা শাটডাউন দেয় সরকার। চার মাসের বেশি সময়ের এই অচলাবস্থার শেষ হয় ১১ আগস্ট। চালু হয়েছে বাসসহ গণপরিবহন, দোকানপাট। ১৯ আগস্ট থেকে খুলে দেয়া হয়েছে পর্যটনকেন্দ্রগুলোও।

এ বিভাগের আরো খবর