দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ধীরে ধীরে কমছে। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৫৯ জনের, যা ৪৪ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৬ হাজার ৫৬৬ জনের দেহে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১০ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৮৭৮ জনের।
গত একদিনে দেশের ৭২৩টি ল্যাবে করোনার ৩৭ হাজার ২২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৭৬ জন, নারী ৮৩ জন। এর মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। বাকিদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ৩, ত্রিশোর্ধ্ব ১২, চল্লিশোর্ধ্ব ২০, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩৯ ও ষাটোর্ধ্ব ৩৯, সত্তরোর্ধ্ব ৩৩ ও অশীতিপর ১৪ জন রয়েছেন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, ৩৮ জন। এ ছাড়া খুলনায় ১২ জন, রাজশাহীতে ১৩, বরিশালে ১০, সিলেটে ২৩, রংপুরে ৮ ও ময়মনসিংহে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। উদ্বেগ থাকলেও প্রথম কয়েক মাসে ভাইরাসটি সেভাবে ছড়ায়নি। গত শীতে দ্বিতীয় ঢেউ আসার উদ্বেগ থাকলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু- দুটোই কমে আসে। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে যায়, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় মহামারি নয়, নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি।
তবে গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতে করোনার নতুন ধরনের কথা জানা যায়। সেই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের দ্রুত অসুস্থ করে দেয়, তাদের অক্সিজেন লাগে বেশি। ছড়ায়ও দ্রুত, তাই মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।
করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দফায় দফায় কঠোর বিধিনিষেধ, লকডাউন বা শাটডাউন দেয় সরকার। চার মাসের বেশি সময়ের এই অচলাবস্থার শেষ হয় বুধবার। চালু হয়েছে বাসসহ গণপরিবহন, খুলেছে দোকানপাট। খুলে দেয়া হয়েছে পর্যটনকেন্দ্রগুলোও।