মাসে চার কোটি টিকা দেশেই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার, জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
দেশে সিনোফার্মের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা উৎপাদনে বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে সোমবার সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার পর এ মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় তিনি জানান, দামের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এই চুক্তি করা হয়েছে। করোনা টিকা তৈরিতে তিনটি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে- ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিনোফার্ম।
‘ইনসেপ্টা বাল্ক আনবে। বোটলিং লেভেলিং ও ফিনিশিং কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘ইনসেপ্টার টিকা তৈরির অনেক সক্ষমতা রয়েছে। মাসে তারা চার কোটি দেশে বানাতে পারবে।’
টিকার উৎপাদন কবে শুরু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, তিন মাসের মধ্যেই শুরু হবে। ইনসেপ্টার প্রস্তুতির বিষয় আছে। নীতিমালা অনুসরণ করেই চায়না বাল্ক নিয়ে আসতে হবে।
দেশে কী পরিমাণ টিকা উৎপাদন করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন আমরা উৎপাদন শুরু করব তখন এই বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে। এ ছাড়া আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই টিকা উৎপাদন করা হবে।
কাঁচামাল দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আবেদন করেছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেহেতু আমরা এখন কো-প্রোডাকশনে যাচ্ছি, কাঁচামাল নিয়ে আসার বিষয়ে পরে জানাতে পারব।
টিকার দাম কত হবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন দাম এখনও ঠিক হয়নি। টিকা তৈরি হলে সবকিছু বিবেচনা করে দাম নির্ধারণ করা হবে। তবে অবশ্যই আমরা এটা বলতে পারি, বাইরে থেকে টিকা কিনে আনার চেয়ে দেশে উৎপাদন করলে দাম কিছুটা সাশ্রয়ী হবে। টিকা তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে এই আশা থেকেই এই প্ল্যান করা হয়েছে।
রাশিয়ার টিকা চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, আমরা অপেক্ষায় আছি। তারা টিকা দেয়া শুরু কবে করতে পারবে এটা আমাদের এখনো জানায়নি। জানালে আপনাদের জানাতে পারব।