বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে তৈরি হবে করোনা টিকা, বিক্রি হবে বিদেশে

  •    
  • ১৬ আগস্ট, ২০২১ ১৭:১৮

‘টিকা কেনার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চীন থেকে ৬ কোটি টিকা কেনার চুক্তি হয়েছে। এছাড়া চীনের টিকা এখন দেশে উৎপাদনে হবে। কম দামে এই টিকা আমরা পাবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টিকা জনগণের জন্য বিনামূল্যে প্রদান করছেন।’

দেশে সিনোফার্মের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা উৎপাদনে বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।

রাজধানীর মহাখালী বিসিপিএস মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে এই সমঝোতা চুক্তি সই হয়।

চুক্তি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মাহাবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টার চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির, চীনের রাষ্ট্রদূত লি জি মিং ছাড়া দুই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া অনলাইনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স বিভাগের কাউন্সিলর মি.রং, সিনোফার্মের চেয়ারম্যান লিউ জিংযান, সিনোফার্ম এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার ফু কুয়াং।

দেশে টিকার আর কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘টিকা কেনার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চীন থেকে ৬ কোটি টিকা কেনার চুক্তি হয়েছে। এছাড়া চীনের টিকা এখন দেশে উৎপাদনে হবে। কম দামে এই টিকা আমরা পাবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টিকা জনগণের জন্য বিনামূল্যে প্রদান করছেন।’

তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মনে চলতে হবে।

টিকা তৈরিতে তিনটি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে—ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিনোফার্ম। ইনসেপ্টা বাল্ক আনবে। বোটলিং লেভেলিং ও ফিনিশিং কাজ করবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এ চুক্তির মাধ্যমে চীনের সহযোগিতায় বাংলাদেশের টিকা উৎপাদন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তার উদ্যোগ আজ বাস্তবায়নের। দেশে ৩ লাখ ভ্যাকসিন এসেছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ ১ কোটি ৫০ লাখ দেয়া হয়েছে। ৫৪ লাখ দেয়া হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে দেয়া দুই কোটি। হাতে রয়েছে এক কোটি।’

তিনি বলেন, টিকা উৎপাদনের জন্য আগাম কোনো অবকাঠামো পরিদর্শন করার প্রয়োজন নেই। চীনের টিকা কো-প্রোডাকশন করার করা হবে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে ইনসেপ্টা।

এ ছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সরকারিভাবে টিকা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। দেশে তৈরি হবে করোনা টিকা, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি হবে বিদেশেও।

আগমী ২০-২২ তারিখটা মধ্যে আরও ৫০ লাখ টিকা আসবে বলেও জানান তিনি।

সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টার চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির বলেন, সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড মিলে এই টিকা তৈরি করবে। চীন থেকে সিনোফার্মের টিকার উৎপাদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কাঁচামাল এনে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সরকারকে হস্তান্তর করা হবে। যে চুক্তি সই হলো এর মাধ্যমে দ্রুত সময়ে মধ্যে যৌথভাবে এই টিকা উৎপাদন করা সম্ভব হবে। তবে টিকা কবে পাওয়া যাবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না, কারণ কিছু নিয়ম নীতি অনুসরন করতে হবে, আশা করি দ্রুতই টিকা পাওয়া যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর